অতিবৃষ্টিতে কক্সবাজারের শতাধিক জনপদ পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। একই সঙ্গে পাহাড়ি ঢল ও পানি প্রবেশ করে জেলার বেশকিছু গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। টানা বৃষ্টিতে পানিবন্দি, পাহাড় ধস ও বন্যার আশঙ্কায় রয়েছেন নিম্ন এলাকার বাসিন্দারা।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরের পর থেকে প্রবল বৃষ্টির কারণে কক্সবাজারে কলাতলী, সুগন্ধা, সার্কিট হাউস, বাহারছড়া, বাজারঘাটা, বার্মিজ মার্কেট, লাবণীর মোড়সহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি সড়ক ও উপসড়ক হাঁটু পানিতে ডুবে যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রামু উপজেলার কিছু অংশ, চকরিয়া, কুতুবদিয়া, পেকুয়া, উখিয়া, টেকনাফ, ঈদগাঁও উপজেলায় নিম্নাঞ্চলে বৃষ্টির পানিতে বিভিন্ন গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
টেকনাফের উনচিপ্রাং ও শালবাগান রোহিঙ্গা ক্যাম্প এবং উখিয়ার নিম্নাঞ্চলের বেশ কয়েকটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পও প্লাবিত হয়েছে।
টেকনাফ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান বলেন, ‘টেকনাফে দুই দিনের ভারি বর্ষণে ২০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন অসংখ্য মানুষ।’
ওই উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন খোকন বলেন, ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চালে অবস্থিত বেশ কয়েকটি গ্রামে বসতবাড়িতে বৃষ্টির পানি প্রবেশ করেছে। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
২৬ নম্বর শালবাগান রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আমবাগান এলাকার রোহিঙ্গা কমিউনিটি নেতা সাইফুল বশর বলেন, ‘টানা বৃষ্টিতে ক্যাম্পে বৃষ্টির পানি প্রবেশ করে বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ঘরের ভেতর হাঁটু সমান পানি। চুলায় আগুন দিতে পারেনি অনেক পরিবার। বৃদ্ধ ও শিশুরা বেশি কষ্ট পাচ্ছে।’
কক্সবাজার আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারি আবওয়াবিদ আব্দুল হান্নান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় (বৃহস্পতিবার রাত ৯টা পর্যন্ত) কক্সবাজারে মোট বৃষ্টি ১৮৫ মি.মি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। অতিবৃষ্টির কারণে পাহাড় ধসের সম্ভাবনা রয়েছে। সকলকে নিরাপদে থাকার পরামর্শ দেন তিনি।
/টিআর
আপনার মতামত লিখুন :