একান্ন একরে আদালতের গুড়িয়ে দেওয়া জায়গায় আবারো ভবণ: গিয়াসউদ্দিন সিন্ডিকেট


Coxsbazarreport.com প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ১১, ২০২৫, ৩:৩৫ অপরাহ্ন /
একান্ন একরে আদালতের গুড়িয়ে দেওয়া জায়গায় আবারো ভবণ: গিয়াসউদ্দিন সিন্ডিকেট

কক্সবাজার রিপোট :

প্রেক্ষাপট পরিবর্তনকে সুযোগ হিসেবে কাজে লাগাচ্ছে কিছু চিহ্নিত দখলবাজ। তারা গেল সরকারের আমলের প্রদত্ত আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে আবারো নতুন করে নেমেছে দখল প্রক্রিয়ায়। তেমনি এক দখলবাজ হলেন কক্সবাজার শহরের কলাতলীর একান্ন একরে অবৈধভাবে সরকারী জায়গা দখল করে ভবন নির্মাণ করা গিয়াস উদ্দিন। যিনি ভ্রাম্যমান আদালতের উচ্ছেদ করা জায়গায় পুনরায় ভবণ তৈরী করেন। গিয়াস উদ্দিন শহরের বাহারছাড়ার বাসিন্দা মৃত নুরুল কবিরের ছেলে।
প্রাপ্ত অভিযোগের ভিত্তিতে, শহরের কলাতলী উত্তর আদর্শগ্রাম একান্ন একর গ্রীণ ভিও আবাসিক প্রকল্পে গিয়ে দেখা যায়, সরকারী জায়গায় অবৈধভাবে ভবণ নির্মাণ করায় গত ২০২২ সালের অক্টোবরে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কউক) ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে গুড়িয়ে দেওয়া ভবণের জায়গায় পুনরায় রীতিমত ১০ তালা ফাউন্ডেশন দিয়ে আবারো নতুন ভবণ নির্মাণ করা হয়েছে। আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এ কাজ করেছেন গিয়াস উদ্দিন ও তার লোকজন।
খবর নিয়ে জানা যায়, গিয়াস উদ্দিন জায়গা দখল সহ নানা অপকর্মের সাথে লিপ্ত। তারই অংশ হিসেবে ভ‚য়া কাগজ-পত্র বানিয়ে কলাতলী একান্ন একরের গ্রীণ ভিও আবাসন প্রকল্পের জায়গা দখল পূর্বক ভবণ নিমার্ণ করে। পরে ২০২২ সালের অক্টোবরের শুরু’র দিকে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কউক) নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের মাধ্যমে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ওই ভবণ গুড়িয়ে দেয় এবং আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করে। প্রশাসনের উচ্ছেদ অভিযান শেষে সব স্বাভাবিক থাকলেও গেল সরকার পতনের পর আবারো সক্রিয় হয়ে উঠেছে গিয়াস উদ্দিন। তিনি ওই জায়গায় আবারো ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে ভবণ তৈরী করে এবং ৬ রুম ভাড়া দেয়। এছাড়া এই এলাকায় গিয়াস উদ্দিনের একটি জায়গা রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীদের দেওয়া তথ্যে জানা যায়, গিয়াস উদ্দিন খুবই প্রভাবশালী এবং জায়গা-সম্পত্তির কাগজ-পত্র জালিয়াতীতে দক্ষ। বিচক্ষন গিয়াসউদ্দিন সুযোগ বুঝে কাজ করেন। যার ধারাবাহিকতায় আদালতের নিষেজ্ঞা অমান্য করে এই কাজ করেছেন। মূলত প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের সাথে আদালতের নিষেজ্ঞাও মুছে ফেলতে চান। এছাড়া একের পর এক বিলাশ বহুল ভবণ নির্মাণ করায় অনেকের মনে তার টাকার উৎস্য নিয়ে রয়েছে সন্দেহ।
এই প্রসঙ্গে গ্রীণ ভিও আবাসিক প্রকল্পের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সোহেল বলেন, ‘যতটুকু শুনেছি আদালতের নিষেজ্ঞা থাকায় ভবণটি ভেঙ্গে ফেলা হয়েছিল। এখন আবার নতুনভাবে এই ভবণ দেখা যাচ্ছে। এখন আইনগত বিধিনিষেধ আছে কিনা বা কিভাবে করেছে তা জানা নাই’।
এ প্রসঙ্গে জানতে গিয়াস উদ্দিনকে ফোন করা হলে বলেন, তিনি এক রোগী নিয়ে ব্যস্থ আছে। এখন এই প্রসঙ্গে কথা বলার পরিস্থিতি নেই। তাই কথা বলতে রাজী নন।

//টিআর