বার্তা পরিবেশক
কক্সবাজারের রামু’র চাকমারকুলে অবৈধভাবে জায়গা দখলের চেষ্টায় রাতের আঁধারে সশস্ত্র লোকজন ফসলী জমির মাঠি কেটে নিয়ে যায় ইটভাটায় বিক্রি করতে। এ নিয়ে জমির মালিক থানায় অভিযোগ দায়ের করলে ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে দখলবাজরা। তারা পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায় জমির মালিক দুই ভাইয়ের উপর। এ ঘটনায় রামু থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
ঘটনাটি হয়েছে রামু’র চাকমারকুল ডেইঙ্গা পাড়ায়। গত ২২ জানুয়ারী রাতের আঁধাওে জমি দখলের চেষ্টায় ফসলী জমির মাঠি কেটে নিয়ে যায় এবং এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করায় গত ২৮ জানুয়ারী দুপুরে হামলা চালানো হয় জায়গার মালিকদের উপর।
এ নিয়ে হামলাকারীদের মারধরে আহত জায়গার মালিক ওই এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে মোঃ আলম বাদী হয়ে রামু থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। দায়েকৃত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
একই এলাকার মৃত রশিদ আহাম্মদের ছেলে শফিউল হক গং খুবই ভয়ংকর প্রকৃতির লোক। শফিউল হক চাকমারকুল ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের চাচাতো ভাই কাউকে পাত্তা না দিয়ে একের পর এক নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। তারা দিনদুপুরে হামলা চালিয়ে লোকজনের জায়গা দখল করে। তারই ধারাবাহিকতায় মো: আলমের খতিয়ান ভুক্ত পৈত্রিক সম্মত্তি অবৈধভাবে দখলের চেষ্টা চালায় শফিউল হক গং। তারা দীর্ঘদিন নানা কৌশল অবলম্বনের মধ্য দিয়ে ওই জায়গা দখলের চেষ্টা চালায়। সর্বশেষ গত ২২ জানুয়ারী শফিউল হকের নেতৃত্বে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে রাত আনুমানিক ২ টার দিকে ওই জায়গা থেকে ৪ ফুট গভীর করে মাঠি কেটে পিকআপে করে নিয়ে যায় ইটভাটায় বিক্রি করতে।
এ ঘটনায় রামু থাকায় অভিযোগ দায়ের করা হলে দখলবাজরা ক্ষুব্ধ হয়ে গত ২৮ জানুয়ারী দুপুরের দিকে হামলা চালায় মোঃ আলম ও তার ভাই আমান উল্লাহর উপর। হামলাকারীরা তাদের ব্যাপক মারধর করে। শফিউল হকের নেতৃত্বে এই হামলার সাথে জড়িত ছিল মখলুজ্জামানের ছেলে নুরুল আলম, মকছুদ আলমের ছেলে মো: হোছন ও জানে আলমের ছেলে লোকমান সহ ৭-৮ জন। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে পুলিশের সামনেও তারা হামলা চালায়। এসময় হামলাকারীরা প্রকাশ্যে হুমকি দেয় ওই জায়গা দখলের জন্য প্রয়োজনে লাশ ফেলবে। আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে রামু থানার অভিসার ইনর্চাজ ইমন কান্তি চৌধুরী জানান, বিষয়টি তিনি অবগত। ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিকের চেস্টা করে। অভিযোগের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। একদিকে প্রভাবশালীদের জায়গা দখলের চেষ্টা অন্যদিকে হত্যার হুমকি। এ অবস্থায় জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে মোঃ আলম ও তার ভাই আমান উল্লাহর পরিবার। তারা প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছেন।
## ওমর ফারুক হিরু, কক্সবাজার।
আপনার মতামত লিখুন :