ডেস্ক নিউজ:
খতিব জটিলতায় থমথমে পরিস্থিতিতে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে জুমার নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর পলাতক থাকা বায়তুল মোকাররমের খতিব রুহুল আমিন ফিরে আসার পর এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়।
জুমার নামাজ শুরুর আগে বায়তুল মোকাররমের বর্তমান খতিব হাফেজ মাওলানা ড. মুফতি ওয়ালিয়ুর রহমান খান বয়ান করছিলেন। এমন সময় পলাতক খতিব মাওলানা মুফতি রুহুল আমীন অনুসারীদের নিয়ে বায়তুল মোকাররম মসজিদে এসে বর্তমান খতিবের মাইক্রোফোনে হাত দেন। এ সময় বর্তমান খতিবের অনুসারীরা রুহুল আমিনের অনুসারীদের প্রতিরোধ করেন। তখন দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এতে কয়েকজন আহত হন। এ পরিস্থিতিতে সাধারণ মুসল্লিরা বিচলিত হয়ে পড়েন।
দুই পক্ষের উত্তেজনার মধ্যে মসজিদের ভিতরে ভাঙচুর করা হয়। দরজা-জানালার গ্লাস ভেঙে ফেলা হয়। খবর পেয়ে মসজিদে আসেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। এছাড়া, আগে থেকেই বায়তুল মোকাররম এলাকায় পুলিশের বিপুল সংখ্যক সদস্য অবস্থান করছিলেন।
অনেকে ওই সময় মসজিদ থেকে বেরিয়ে যান। পরে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলে সোয়া ১টার দিকে আবার সাধারণ মুসল্লিরা মসজিদে প্রবেশ করেন। এর পর থমথমে পরিস্থিতিতে নামাজ শেষে সাধারণ মুসল্লিরা মসজিদ থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ দেখা যায়, মসজিদ থেকে স্লোগান দিতে দিতে একদল মুসল্লি বের হন। তারা নানা রকম স্লোগান দেন।
এ সময় পুলিশ তাদের মসজিদ এলাকা থেকে চলে যেতে বলেন। কিন্তু, তারা রাস্তায় গিয়ে দাঁড়ান। পরে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র্যাবের সদস্যরা তাদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেন।
//
আপনার মতামত লিখুন :