কক্সবাজার রিপোর্ট :
কক্সবাজারের সদর উপজেলা ঝিলংজা খরুলিয়ার দরগাহ পাড়ার (৭নং ওয়ার্ড) মাজার রোড এলাকায় দীর্ঘদিনের চলাচলের রাস্তার উপর বসতঘরের সীমানার দেয়াল তুলে দিয়েছে জহির উদ্দিন গং নামে এক প্রভাবশালী। এতে প্রশস্ত রাস্তা সংকুচিত হওযায় একটি লাশ নেওয়ার জায়গাও অবশিষ্ট রইলনা। এতে যাতায়তে ভোগান্তিতে পড়েছে ২৫ টির অধিক পরিবারের লোকজন।
এই ঘটনায় ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই দেওয়াল ভাঙ্গার সময় বাধার সম্মুখিন হয় প্রশাসন। এতে আরো বেশি অনিরাপদ হয়ে পড়েছে ভুক্তভোগীরা।
গত ১৮ আগস্ট সদর উপজেলা নিবার্হী অফিসার ও কক্সবাজার সদর থানা বরাবরে ভোক্তভ‚গীদের পক্ষে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। যেখানে উল্লেখ করা হয় ওই এলাকার মোঃ হারুনের ছেলে জহির উদ্দিন ও তার লোকজন প্রকাশ্যে খাস জায়গার উপর অবস্থিত দীর্ঘদিনের ৮ ফুটের পুরাতন সড়কের উপর বসতভিটার দেওয়াল তুলে দিয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে ওই পথ দিয়ে চলাচল করা প্রায় ২৫ পরিবারের অধিক লোকজন। এতে রাস্তাটি এতই সংকোচিত হয়ে যায় যে ওই পথ দিয়ে মরদেহ বা লাশ নিয়ে যাওয়ার উপক্রম নেই। মূলত প্রশাসনের ঢিলেঢালা অবস্থাকে পুঁজি করে প্রবাসী জহির উদ্দিন ও তার লোকজন এই কাজ করেছে। তাদের টাকা এবং গায়ের জোরের কারণে তাদের বিরুদ্ধে কারো প্রতিবাদ করার সাহস নেই। এই অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে তহসিলদার যান। তারা তহসিলদারকেও হেনস্ত করেন। এ নিয়ে গণমাধ্যমেও সংবাদ প্রকাশ হয়।
পরে ৮ সেম্পেম্বর মঙ্গলবার বিকালের দিকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে সহকারী কমিশনায় (ভ‚মি) আরিফ উল্লাহ নিজামী আনসার সদস্যদের নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। অভিযানের অংশ হিসেবে ওই দেওয়াল ভাঙ্গতে শুরু করলে প্রভাবশালীদের বাধার সম্মুখিন হয়।
ওই সময় প্রশাসনকে হেনস্ত করার চেষ্টা করেন উশৃংখল জহির উদ্দিন গং এর লোক মৃত ইছমাইলের ছেলে ছৈয়দ মিয়া (৪০) ও মুবিন, কলিম উল্লাহ্র ছেলে মিজান (৩৫), শামশু ইসলামের ছেলে মোঃ রশিদ (৪৫), ছলিম উল্লাহর ছেলে জাহাঙ্গীর (৩৮) ও লিংক রোড এলাকার মৃত ফজলের ছেলে রহিম (৩৫) সহ ১৫-২০ জন।
এই প্রসঙ্গে সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) আরিফ উল্লাহ নিজামী জানান, এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে যান এবং যাতায়তের সড়কের উপর থাকা দেওয়ালের কিছু অংশ ভাঙ্গা হয়। এ নিয়ে উত্তেজনা বেড়ে যায়। এ বিষয়ে অভিযোগকারীদের আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের পরার্মশ দেওয়া হয়।
ভুক্তভোগীরা বলছেন প্রভাবশালীরা এবং উশৃংখল বলেই প্রশাসনের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। এ অবস্থায় জীবনের নিরাপত্তা ও দখল হওয়া রাস্তা মুক্ত করতে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছেন।
এইচ/টি
আপনার মতামত লিখুন :