গোপালগঞ্জে এনসিপির আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, সহিংসতা ও ভাঙচুরের জেরে গত দু’দিনে তিনটি মামলায় ২৬০০ জনকে আসামি করেছে পুলিশ। এর মধ্যে ১৬৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যাদের অনেকেই রাজনৈতিকভাবে সম্পৃক্ত নন বলে পরিবার ও স্থানীয়দের দাবি।
পুলিশ বলছে, সন্দেহভাজনদের যাচাই-বাছাই করে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে স্থানীয় বাসিন্দা ও পরিবারগুলোর অভিযোগ, যারা আটক হয়েছেন তাদের অনেকেই শিশু, স্কুলছাত্র, শ্রমিক, রিকশাচালক, এমনকি ওষুধ কিনতে যাওয়া সাধারণ পথচারী।
এক অভিভাবক বলেন, “আমার ছেলে পরীক্ষা দিয়ে ফিরছিল, সে ঝালমুড়ি খেতে গিয়েছিল। সেখান থেকে ওকে ধরে নিয়ে গেছে।”
অন্য একজন জানান, “আমার স্বামী পানি সরবরাহের কাজ করতেন। তিনিও ধরা পড়েছেন, অথচ কোনো রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নন।”
শহরে অঘোষিত কারফিউয়ের মধ্যে শুক্রবার জুমার নামাজের সময় কিছুটা শিথিলতা থাকলেও শহর প্রায় জনশূন্য হয়ে পড়ে। আতঙ্কে মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে না।
একাধিক মামলায় শত শত ‘অজ্ঞাতনামা’ ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, এর ফলে পুলিশ যাকে খুশি গ্রেপ্তার করতে পারছে।
গোপালগঞ্জের এক প্রবীণ শিক্ষক বলেন, “এমন দমন-পীড়ন আগে কখনো দেখিনি। শহরজুড়ে ভয় আর উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে।”
এ ঘটনায় পরিবারগুলো অসহায়। থানার সামনে অনেকে জড়ো হয়ে স্বজনের খোঁজ নিচ্ছেন, কিন্তু কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তারা সঠিক কোনো তথ্য পাচ্ছেন না।
আপনার মতামত লিখুন :