তারেকুর রহমান :
রিবারে বেড়াতে আসা দম্পতি নাহিদুল মিঞা ও সুলতানা রাজিয়া বলেন, পাঁচ বছর পর কক্সবাজার আসলাম। সমুদ্রে গোসল করতে ভালো লাগে তাই টিউব নিয়ে পানিতে নেমেছি। আবহাওয়া খারাপ কিংবা সতর্ক সংকেতের বিষয়ে জানা নেই।
হবিগঞ্জ থেকে আসা নিখিল কুমার বলেন, কক্সবাজার আসছি আর সমুদ্রে পা না ভিজিয়ে চলে যাব এ হয় নাকি?
এদিকে বৈরী আবহাওয়ায় গভীরসমুদ্রে গিয়ে গোসল না করতে পর্যটকদের নিরুৎসাহিত করছেন দায়িত্বরত লাইফগার্ড কর্মীরা। বুক সমান পানিতে যারা সমুদ্রস্নান করছেন তাদের বাঁশি বাজিয়ে কূলে আসার জন্য সংকেত দিচ্ছেন তারা।
সী সেইফ লাইফগার্ডের সদস্য জয়নাল আবেদিন বলেন, সমুদ্রসৈকতে আগত পর্যটকদের জোয়ার-ভাটা, সৈকতে লাল পতাকা টাঙিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্ট ও আবহাওয়ার পরিস্থিতি সব সময় জানিয়ে দেওয়া হয়। বৈরী আবহাওয়া থাকা সত্ত্বেও কিছু পর্যটক নির্দেশনা না মেনে সমুদ্রস্নান করছেন। তাদেরকে বুঝিয়ে কূলে নিয়ে আসা হচ্ছে।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ আবদুল হান্নান বলেন, বঙ্গোপসাগর ও উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা কারণে বন্দরের ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এছাড়া বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
//
আপনার মতামত লিখুন :