আর এই স্বাস্থ্যকর চর্বি জমাতে সাহায্য করতে পারে ব্যায়াম।
সম্প্রতি এমনই দাবি করেছেন মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘স্কুল অফ কিনসিওলজি’র গবেষকরা।
প্রধান গবেষক ডা. জেফলি হরোউইটজ এই বিষয়ে সিএনএন ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেন, “নিয়মিত শরীরচর্চা করলে আর শারীরিকভাবে কর্মক্ষম থাকলে আমাদের ‘ফ্যাট টিসু’ আরও ভালোভাবে সংরক্ষিত হয় আর বাড়তি শক্তি হিসেবে কাজ করে।”
গবেষকরা ১৬ জনের দুটি দলের মানুষদের ত্বকের নিচে থাকা চর্বির কোষ পরীক্ষা করেন। এক দলের স্থূলতার সমস্যা থাকলেও তারা সপ্তাহে অন্তত চারবার ব্যায়াম করত। আরেক দল নিয়মিত ব্যায়ামই করতো না।
‘ন্যাচার মেটাবলিজম’ সাময়িকীতে প্রকাশিত দুই বছর ধরে চলা এই গবেষণার ফলাফলে বলা হয়- ত্বকের নিচে চর্বি ধারণ ক্ষমতা বেশি। সেখানে চর্বি জমলে দেহের অন্যান্য অংশে যেমন- হৃদপিণ্ড, লিভার বা যকৃতে চর্বি জমার ঝুঁকি কমে।”
হরোউইটজ বলেন, “দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি, বয়স বাড়লে ব্যায়াম করলেও ওজন কমতে চায় না। এক্ষেত্রে ত্বকের নিচে চর্বি জমা হলে যকৃত বা হৃদপিণ্ডে চর্বি যাওয়ার সম্ভাবনা কমে আসে। আর এটা সম্ভব হয় ব্যায়ামের মাধ্যমে।”
যদিও বিষয়টা কোনা বিপাকীয় পদ্ধতিতে হচ্ছে সেটা এখন বোঝা সম্ভব হয়নি।
তাই যুক্তরাষ্ট্রের ডেনভার’য়ে অবস্থিত ‘ন্যাশনাল জুইশ হেল্থ’য়ের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. অ্যান্ড্রু ফ্রিম্যান এই গবেষণার সাথে যুক্ত না থেকেও বলেন, “ফ্যাট টিস্যু’ সম্পর্কে গবেষকদের আরও পরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে। অতিরিক্ত ওজন মানেই খারাপ এটা আসলে সবসময় ঠিক নাও হতে পারে।”
যে পরিমাণ ব্যায়াম দরকার
“দেহে স্বাস্থ্যকর চর্বি জমানোর প্রধান চাবিকাঠি হল শারীরিকভাবে কর্মক্ষম বা ব্যায়াম করা”- বলেন হরোউইটজ।
ফ্রিম্যান পরামর্শ দেন, “ব্যায়াম শুরু করতে চাইলে সকালবেলা বেছে নেওয়া উচিত। এই সময়টা প্রাকৃতিক উত্তেজক হিসেবে কাজ করে, অনেকটা কফি পানের মতো। আর পয়সা খরচ করে ‘জিম’য়ে যেয়ে ব্যায়াম করতে হবে না।”
নানানভাবে ব্যায়াম করা যায়। প্রতিদিন ৩০ মিনিট ব্যায়াম করার জন্য হাঁটা ছাড়াও নানান ধরনের শরীরচর্চা রয়েছে। তবে বেশি বয়সে ব্যায়াম শুরু করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন, ফ্রিম্যান। সূত্র: বিডিনিউজ২৪
/টিআর
আপনার মতামত লিখুন :