টেক্সাসে আকস্মিক বন্যায় অন্তত ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ১৫ শিশু। বন্যায় (টেক্সাস বন্যা ২০২৫) বেঁচে থাকা মানুষদের উদ্ধারে শত শত উদ্ধারকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে।
কের কাউন্টির শেরিফ ল্যারি লেইথা জানিয়েছেন, “প্রত্যেককে না পাওয়া পর্যন্ত কাজ চলমান থাকবে।”
কাউন্টি কর্মকর্তারা জানান, নদীর কাছে অবস্থিত একটি খ্রিষ্টান ইয়ুথ ক্যাম্প থেকে নিখোঁজ রয়েছে ২৭টি শিশু, যাদের বেশিরভাগের বয়স ১২ বছরের নিচে। অনেক অভিভাবক সামাজিক মাধ্যমে তাদের সন্তানদের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। এখন পর্যন্ত ৮৫০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
সপ্তাহের শেষে আবার কয়েকটি আকস্মিক বন্যার সতর্কতা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে টেক্সাসের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবোট বলেছেন, তিনি দুর্যোগ ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করে উদ্ধার অভিযান জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি জানান, কর্মকর্তারা প্রতিটি নিখোঁজ ব্যক্তির সন্ধানে বিরামহীনভাবে কাজ করে যাবেন।
এছাড়াও গুয়াডালুপে নদীর ওপরে ও নিচে সবদিকেই উদ্ধারকারীরা অভিযান চালাবেন যাতে কেউ পানিতে ভেসে গেলে তাকে উদ্ধার করা যায়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তার প্রশাসন স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি ক্রিস্টি নোয়েম জানিয়েছেন, উদ্ধার তৎপরতায় সহযোগিতার জন্য ফেডারেল সরকার কোস্ট গার্ড মোতায়েন করবে।
বেশিরভাগ উদ্ধারকর্মীর দৃষ্টি ছিল ক্যাম্প মিসটিকের দিকে, যা একটি বড় মেয়েদের ক্রিশ্চিয়ান সামার ক্যাম্প। শুক্রবার নদীর পানি মাত্র এক ঘণ্টায় ২৬ ফুট বেড়ে যায়। তখন প্রায় সাড়ে সাতশো জন সেখানে ছিলো। বন্যার সময় অনেকেই ঘুমিয়ে ছিল ফলে পানির স্রোতে আটকা পড়েছে।
ক্যাম্পের ছবি থেকে দেখা গেছে, কম্বল, ম্যাট্রেস, টেডি বিয়ারসহ অন্যান্য জিনিস কাদায় ভরে আছে। যারা মারা গেছে বা নিখোঁজ তাদের জন্য রবিবার চার্চে প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে। ৪ঠা জুলাইয়ের ছুটির জন্য ক্যাম্পারে অনেকেই সেখানে এসেছিল, যাদেরও অনেকের খোঁজ নেই।
অন্যদিকে,লোরেনা গিলেনের বাড়ি ও রেস্তোরা ধ্বংস হয়ে গেছে। তিনি জানান, ২৮টি যানবাহন নদীর কাছে রাখা ছিল। তিনি বলছেন, “একটি পাঁচ সদস্যের পরিবার বাঁচার জন্য গাছ আঁকড়ে ধরেছিল, কিন্তু উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারেনি।”
বন্যা (টেক্সাস বন্যা ২০২৫) দুর্গত এলাকায় অন্যরা সাহায্যের জন্য যাচ্ছেন। জোনাথন ও ব্রিটানি রোজাস তাদের এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন, যেখানে কেবল ফাউন্ডেশন ছাড়া কিছুই অবশিষ্ট নেই। তারা জানান, একটি পরিবারের মা ও শিশু নিখোঁজ রয়েছে; কিশোর ছেলে কাঁটাতারের কাছে আটকে বেঁচে গেছেন।
অন্য এক অধিবাসী অ্যান্থনি কাদা ও ধ্বংসস্তূপের মধ্যে তার অ্যাপার্টমেন্টে পাওয়া গেছে। তার কাছে ছিলো শুধু ছোটবেলার একটি ছবি আর একটি কম্বল। বাকি সব কিছু ধ্বংস হয়ে গেছে।
আরও বিস্তারিত জানতে পারেন টেক্সাস আবহাওয়া অধিদপ্তরের রিপোর্টে।
টানা কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিতে পাকিস্তানে বন্যায় মৃত্যু হয়েছে ৪৬ জনের, একটি পরিবারেরই নিহত ১৩। এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারেন আমাদের পাকিস্তান বন্যা ২০২৫ প্রতিবেদন এ।
আপনার মতামত লিখুন :