তারেকুর রহমান :
যৌথবাহিনীর হাতে আটক কক্সবাজার সদরের পিএমখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল্লাহকে ছড়িয়ে নিতে কক্সবাজার মডেল থানায় হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তাদের হামলায় আহত হয়েছে দুই পুলিশ সদস্য। সোমবার (২৩ সেপ্টম্বর) বিকেল আড়াইটার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ দুই জনকে আটক করেছে পুলিশ।
চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ ছনখোলা গ্রামের বাসিন্দা আলহাজ্ব ফজলুল হকের ছেলে।
আটককৃতরা হলেন, পিএমখালী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ছনখোলা এলাকার আব্দুল কাদেরের ছেলে মোহাম্মদ শাহেদ ও আমির হামজার ছেলে মুমিনুল হক।
কক্সবাজার পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ বলেন, কক্সবাজারে এক শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে যৌথবাহিনী সোমবার দুপুরে পিএমখালী ইউনিয়ন পরিষদে অভিযান চালিয়ে চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহকে আটক করে থানায় সোপর্দ করে। দুপুর আড়াইটার দিকে তার অনুসারীরা থানায় হামলা চালিয়ে তাকে ছাড়িয়ে নিতে চেষ্টা করে। তাদের বাধা দিতে গিয়ে আমাদের দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়। পরে পুলিশ সদস্যরা তাদের ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। হামলার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে দুই জনকে আটক করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, থানায় হামলার সাথে জড়িত সবাইকে চিহ্নিত করে ২৪ ঘন্টার ভেতরে আইনের আওতায় আনা হবে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনে জুলাই মাসে দুর্বৃত্তের ছুঁড়া গুলিতে নিহত হন চকরিয়া কলেজ শিক্ষার্থী আহসান হাবিব (২৪)। তিনি কক্সবাজার শহরের বিআরবি ক্যাবল অফিসে চাকুরি করতেন। শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার পিএমখালী ইউনিয়ন পরিষদে অভিযান চালিয়ে পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল্লাহকে আটক করে যৌথবাহিনী।
পিএমখালী থেকে থানায় আসা কয়েকজন জানিয়েছেন, আব্দুল্লাহকে বিনা অপরাধে তাকে আটক করা হয়েছে। তাই সাধারণ মানুষ ক্ষুদ্ধ হয়ে থানায় প্রতিবাদ করতে এসেছে।
কক্সবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়জুল আজিম নোমান বলেন, যৌথবাহিনীর হাতে আটক আব্দুল্লাহকে থানায় আনা হলে তার ৫০ থেকে ৬০ জন অনুসারী একত্রিত হয়ে সদর থানায় এসে হামলা করে তাকে ছাড়িয়ে নিতে চেষ্টা করে। কক্সবাজার শহরে আহসান হাবিব হত্যা মামলায় আব্দুল্লাহকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
//
আপনার মতামত লিখুন :