মংডু দখলে নিলো আরাকান আর্মি, সীমান্তে বাড়ানো হয়েছে বিজিবির সতর্কতা


Coxsbazarreport.com প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ১০, ২০২৪, ১:৪৫ পূর্বাহ্ন /
মংডু দখলে নিলো আরাকান আর্মি, সীমান্তে বাড়ানো হয়েছে বিজিবির সতর্কতা

কক্সবাজার রিপোর্ট :

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান যুদ্ধে মংডু শহর পুরোপুরি দখলে নিয়েছে দেশটির সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি।

রোববার (৮ ডিসেম্বর) সকালে জান্তা সরকারের বর্ডার গার্ড পুলিশ ডিভিশনের (নাখাখা-৫) শেষ পোস্টটিও আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। এ ঘটনার পর আরাকান আর্মি নাফ নদীর তাদের জলসীমায় অনির্দিষ্টকালের জন্য সব ধরনের নৌযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

বাংলাদেশি নৌযান ও জেলেদেরও নাফ নদীতে প্রবেশ না করার জন্য সতর্ক করা হয়েছে। টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন জানিয়েছেন, ‘‘নাফ নদী সীমান্তে ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতির কারণে ফিশিং ট্রলার মালিকদের মাইকিং করে সতর্ক করা হয়েছে। বিজিবি ও কোস্টগার্ডের টহল জোরদার করা হয়েছে।’’

আরাকান আর্মি জানিয়েছে, ‘‘মংডু শহরের নাখাখা-৫ এলাকায় জান্তা সরকারের শেষ পোস্টটিও দখল করা হয়েছে। তবে কিছু সশস্ত্র সদস্য, যাদের মধ্যে ইসলামী চরমপন্থী গোষ্ঠীর সদস্যরাও রয়েছে, তারা পালিয়ে গিয়ে নাফ নদী দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করছে।’’

নিরাপত্তার স্বার্থে নাফ নদীতে সমস্ত নৌযান চলাচল স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছে আরাকান আর্মি।

বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের চট্টগ্রাম মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সোয়াইব বিকাশ জানিয়েছেন, ‘‘বাংলাদেশের জলসীমায় কেউ ঢুকতে পারবে না। নাফ নদী থেকে সেন্টমার্টিন পর্যন্ত টহল জোরদার করা হয়েছে।’’

টেকনাফ ২ বিজিবির ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর সৈয়দ ইশতিয়াক মুর্শেদ বলেন, “সীমান্তে যেকোনো অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। বিজিবি সদস্যরা নাফ নদী ও স্থলে সর্বোচ্চ তৎপরতায় কাজ করছে।”

টেকনাফ সীমান্তের বাসিন্দা মোহাম্মদ কাদের জানান, ‘‘মংডু শহর আরাকান আর্মি দখলে নিয়েছে বলে শুনেছি। আমাদের জেলেদের ওপারের জলসীমায় না যেতে সতর্ক করা হয়েছে।’’

রাখাইনের মংডুতে চলমান যুদ্ধে তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় সীমান্তের স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কিত। তারা গুলির শব্দ শুনতে পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।

আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যানিটির সভাপতি মোহাম্মদ জোবায়ের বলেন, ‘‘আমরা শুনেছি আরাকান আর্মি মংডু দখল করেছে। তবে এ নিয়ে শঙ্কা রয়েছে, কারণ আরাকান আর্মি রোহিঙ্গাদের বিতাড়িত করতে পারে।’’

সীমান্তের এই অস্থির পরিস্থিতি আরও কত দিন চলবে, তা নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে।

//টিআর