ওমর ফারুক হিরু :
কক্সবাজারে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। গেল ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে উত্তাল সাগরে দুর্ঘটনা এড়াতে স্থানীয় প্রশাসনের দেওয়া নির্দেশনা এখনো অব্যাহত রয়েছে। তারমধ্যে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে জোয়ারের পানির তোড়ে দ্বিখন্ডিত হয়ে যায় ইনানী সৈকতের নৌবাহিনীর জেটি। ওই জেটি’টিও সেন্টমার্টিন বেড়াতে যাওয়া পর্যটকদের যাহাজে উঠা-নামা’র কাজে ব্যবহার হয়। এতে বেড়াতে আসা পর্যটরা এই মুহুর্তে চাইলেই সেন্টমার্টিন ভ্রমনে যেতে পারছেনা।
টেকনাফ উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের ফলে টেকনাফ ও সেন্টমার্টিন থেকে সব ধরনের যাত্রীবাহী ট্রলার ও নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
এদিকে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে ৪ মাস পর্যটদের যাতায়ত ও অবস্থান সীমিত করার সিন্ধান্ত নিয়েছে সরকার। নবেম্বরে পর্যটকরা যেতে পারলেও রাত্রিযাপন করতে পারবেনা। ডিসম্বর ও জানুয়ারি মাসে যেতে পারবেন, থাকতেও পারবেন। এ সময় দিনে ২ হাজারের বেশি পর্যটক দ্বীপে যেতে পারবেননা। আর ফেব্রæয়ারী মাসে কোনো পর্যটক সেন্টমার্টিন যেতে পারবেনা। ঢাকায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান উপ প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর। দ্বীপকে পরিবেশবান্ধব করার জন্য সরকার এ সিদ্বান্ত গ্রহণ করলেও পর্যটন সেবীরা এই সিদ্বান্ত মানতে নারাজ।
//টিআর
আপনার মতামত লিখুন :