কক্সবাজার রিপোর্ট :
কক্সবাজারের শুটকি পর্যটক ও স্থানীয়দের চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রপ্তানী হচ্ছে। বহুল চাহিদাসম্পন্ন এই শুটকি’র গুনের পাশাপাশি রয়েছে লবণ ও বিষ মিশানোর অভিযোগও। আয়োজন করা হয়েছে অর্গানিক পদ্ধতিতে নিরাপদ শুটকি পক্রিয়াজাতকরনের দিনব্যাপি কর্মশালার। প্রশিক্ষকরা বলছেন অর্গানিত পদ্ধিতিতে সারা দেশে নিরাপদ শুটকি উৎপাদন সম্ভব।
আশা’র আয়োজনে এই কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো: বদরুজ্জামান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আশা’র ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার কপিল উদ্দিন মাহমুদ।
প্রশিক্ষকরা বলেন, অর্গানিক পদ্ধতিতে শুটকি প্রক্রিয়াজাতরণের ফলে মাছের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাবে। এ প্রশিক্ষণের ফলে সরাদেশে বিষমুক্ত শুটকি উৎপাদিত হবে।
প্রধান অতিথি জেলা মৎস্য কমকর্তা মো: বদরুজ্জামান বলেন, সারা দেশে কক্সবাজারের শুটকির চাহিদা রয়েছে। শুটকি শুকাতে গিয়ে অসাধুদের ব্যবহৃত বিষ ও লবন মানব শরীরে নানা রোগ সৃৃষ্টি করে। সবার সচেতন থাকতে হবে যেন নিরাপদ শুটকি নিশ্চিত হয়। অর্গানিক পদ্ধিতিতে শুটকি উৎপাদন সহজ ও লাভজনক।
শুটকি মাছে পোকা না আসার জন্য বিষের পানি বা লবণ ব্যবহার করা হয়। এতে মাছের স্বাদ কমে যায় এবং ওজন বেড়ে যায়। প্রশিক্ষণে বুঝানো হয় শুটকির জন্য প্রস্তুত করা মাছ সমুদ্রের পানিতে পরিষ্কার করে কিভাবে অর্গানিক পদ্বতিতে উৎপাদন করা।
কর্মশালায় আরো উপস্থিত ছিলেন, আশা’র এগ্রি অফিসার মো: সাইফুদ্দিন, কক্সবাজার সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার সুজয় পাল সহ অন্যান কর্মকর্তা বৃন্দ। এতে অংশগ্রহণ করেন শুটকি উৎপাদনকারী ৩০ নারী-পুরুষ।
//টিআর
আপনার মতামত লিখুন :