পশ্চিমবঙ্গে বন্যার জন্য কেন্দ্রকে দায়ী করলেন মমতা


Coxsbazarreport.com প্রকাশের সময় : সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৪, ৩:২৮ অপরাহ্ন /
পশ্চিমবঙ্গে বন্যার জন্য কেন্দ্রকে দায়ী করলেন মমতা

ডেস্ক নিউজ :

পশ্চিমবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতির জন্য ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারকেই দায়ী করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার হুগলির পুরশুড়া ব্লকে গিয়ে তিনি বলেছেন, কেন্দ্রের অসহযোগিতা এবং উদাসীনতায় বাংলায় প্লাবন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

দুপুরে পুরশুড়ার একটি সেতুতে দাঁড়িয়ে প্লাবন দেখে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মমতা। আঙুল তোলেন ডিভিসি-র দিকেও।

মমতা বলেন, ‘সাড়ে তিন লাখ কিউসেক পানি ছাড়া হয়েছে ডিভিসি থেকে। আমি নিজে ডিভিসি-র সঙ্গে কথা বলেছি। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। এত পানি এর আগে ছাড়া হয়নি। যখন ৭০-৮০ শতাংশ পানি ভরে যায়, তখন কেন পানি ছাড়ে না ডিভিসি? কেন্দ্র ড্রেনেজ করে না। নিজেদের রাজ্যগুলোকে বাঁচাচ্ছে। আর সবটা বাংলার উপরে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাংলা আর কত বঞ্চনা সহ্য করবে?’

মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, কেন্দ্র ‘পরিকল্পিত ভাবে বাংলাকে ডুবিয়েছে।’

রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি আসলে ‘ম্যান মেড’। এ কথা অনেক বার শোনা গিয়েছে মমতার গলায়। বছর দুয়েক আগে হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরেও মমতা একই কথা বলেছেন। ২০০০ সালে রাজ্য জুড়ে বন্যার পর মমতা বলেছিলেন ‘ম্যান মেড’। ফারাক একটাই, তখন তিনি ছিলেন বিরোধী নেত্রী। আর এখন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। কিছু দিন আগে সমাজমাধ্যমেও ‘ম্যান মেড’ বন্যার কথা বলেছিলেন মমতা।

আগস্টে প্লাবন পরিস্থিতি নিয়ে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার পর এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক টুইটার) লিখেছিলেন, ‘এখনই আমি ঝাড়খণ্ডের মুখ্য়মন্ত্রী হেমন্ত সোরেনজির সঙ্গে কথা বললাম। বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলেছি। তেনুঘাট থেকে আচমকা বিপুল পানি ছাড়া নিয়ে আমি আলোচনা করেছি। এর জেরে বাংলা ইতিমধ্যেই প্লাবিত হতে শুরু করেছে। আমি তাকে বলেছি, ঝাড়খণ্ডের পানিতে বাংলা প্লাবিত হচ্ছে আর এটা ম্যান মেড। আমি এই ব্যাপারটি দয়া করে দেখার জন্য বলেছি। ’

দামোদরের পানিতে প্লাবিত হুগলির বেশ কিছু এলাকা। পুরশুড়ার বেশ কিছু জায়গায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন মানুষজন। বেশ কিছু বাড়িতে পানি ঢুকে গিয়েছে। গ্রামবাসীদের সঙ্গে দেখা করে কথাবার্তা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। হুগলির তারকেশ্বরের একাধিক গ্রাম পানির তলায়।

স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। পানির তলায় হাজার হাজার বিঘা চাষের জমি। গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টির জেরে কানায় কানায় পূর্ণ ছিল দামোদর।