কক্সবাজার রিপোর্ট :
‘‘সমন্বিত উদ্যোগে নারীর শান্তি-সুরক্ষা ও নারী নির্যাতন প্রতিরোধ সম্ভব। ’’
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রেজুলেশন ১৩২৫-এর আলোকে নারী, শান্তি ও নিরাপত্তা বিষয়ক জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে কক্সবাজার সদর উপজেলার স্টিয়ারিং কমিটির তৃতীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বিকেলে কক্সবাজার বাস টার্মিনালস্থ বিএডিসি হলরুমে অনুষ্ঠিত সভায় স্থানীয় পর্যায়ে নারী নিরাপত্তা, ক্ষমতায়ন এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়।
গ্লোবাল নেটওয়ার্ক অফ উইমেন পিসবিল্ডার্স (জিএনডব্লিউপি)-এর সহযোগিতায় বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের (বিএনপিএস) পরিচালিত ‘টেকসই শান্তিতে অবদান রাখতে বাংলাদেশি নারীদের ক্ষমতায়ন’ প্রকল্পের আওতায় গত নভেম্বরে প্রথম ও ডিসেম্বর মাসে দ্বিতীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
অনুষ্ঠিত সভায় দ্বিতীয় সভার কার্যবিবরণী উপস্থাপন, চ্যালেঞ্জ, সমন্বয় সাধন, বাস্তবায়িত কার্যক্রম ও গৃহীত সিদ্ধান্তগুলোর ওপর আলোকপাত করা হয়। একই সাথে নারীর শান্তি-সুরক্ষায় স্থানীয় পর্যায়ে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটিগুলোর অবস্থা কী রকম তা দেখার জন্য সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও খুরুশকুল ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করাসহ বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য পাপিয়া রাণী দে । যৌথভাবে সভা পরিচালনা করেন বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের মাঠ সমন্বয়কারী এসজেডএম আবু রায়হান ও কক্সবাজার স্টিয়ারিং কমিটির সমন্বয়ক এবং প্রকল্প সমন্বয়কারী মো. শফিকুল ইসলাম ফরাজী।
সভায় মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুব্রত বিশ্বাস, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইসমাইল, সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য হুমাইরা বেগম, সিএক্সবিসিডিএফের প্রতিনিধি সুব্রত দত্ত, সাংবাদিক মাইন উদ্দিন হাসান শাহেদ, শিক্ষক সুরাইয়া আক্তার, কক্সবাজার নাগরিক আন্দোলনের সমন্বয়ক কলিম উল্লাহ, কক্সবাজার সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক শরিফা রাণী বড়ুয়া, আদিবাসী ফোরাম কক্সবাজারের সদস্য মা টিন টিনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিনিধি বক্তব্য রাখেন।
এছাড়াও জিএনডব্লিউপি-এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি পাহিমা আহমেদ ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সভায় অংশগ্রহণকারীদের বক্তব্য শুনেন এবং প্রয়োজনীয় মতামত প্রদান করেন।
//টিআর
আপনার মতামত লিখুন :