দমকা হাওয়া ও বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস, দক্ষিণাঞ্চলে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর দেশের সাতটি অঞ্চলের নদীবন্দরে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত জারি করেছে। সোমবার (৩০ জুন) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া সর্বশেষ পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব অথবা পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এর সঙ্গে অস্থায়ীভাবে বজ্রসহ বৃষ্টিরও সম্ভাবনা রয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। নদীপথে চলাচলরত যাত্রীবাহী ও মালবাহী নৌযানকে সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
আবহাওয়াবিদ ড. মো. ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, দেশের দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় সোমবার সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। বিশেষ করে খুলনা, বরিশাল এবং চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু এলাকায় এ ধরনের বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে।
এছাড়া, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
বৃষ্টিপাতের কারণে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে দিনের তাপমাত্রা কিছুটা কমে যেতে পারে। তবে দেশের অন্যান্য অঞ্চলে তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলেও পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় সাগর ও উপকূলীয় এলাকায় এ ধরনের আবহাওয়া বিরাজ করছে। এর ফলে সাগর ও নদীপথে ঝড়ো হাওয়া এবং বজ্রসহ বৃষ্টির প্রবণতা বেড়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত অপেক্ষাকৃত কম ঝুঁকির সংকেত হলেও এসময় নৌযান চলাচলে সাবধানতা অবলম্বন জরুরি। বিশেষ করে ছোট নৌযান বা ট্রলার যেগুলো নদীবন্দর এলাকায় চলাচল করে, তাদের বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সাধারণ জনগণ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সার্বিক পরিস্থিতির দিকে নজর রাখতে এবং আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরবর্তী নির্দেশনার প্রতি যত্নবান থাকতে বলা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :