কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব খেওয়াছড়ি গ্রামের বাসিন্দারা দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে চরম ভোগান্তির মধ্যে দিন পার করছেন। গ্রামে নেই কোনো পাকা রাস্তা, নেই কোনো সেতু। যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম একটি বাঁশের সাঁকো, যা বর্ষাকালে থিমছড়ি খালের পানিতে তলিয়ে যায়। এতে পুরো গ্রাম কার্যত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
স্থানীয় যুবক আব্দুল মান্নান বলেন, “আমাদের এলাকায় কয়েক শতাধিক মানুষ বসবাস করেন। বর্ষা মৌসুমে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে গর্ভবতী নারী বা অসুস্থ রোগী—সবাইকেই চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।”
তিনি জানান, “গতকাল এক মৃত ব্যক্তির লাশ বহনের সময় সবাইকে কোমর পানিতে নেমে খাল পার হতে হয়েছে। এভাবে লাশ বহন করতে আমাদের হৃদয় ভেঙে যায়।”
গ্রামবাসীর অভিযোগ, বিভিন্ন সময়ে ব্রিজ নির্মাণের আশ্বাস মিললেও স্থানীয় কিছু ইউপি সদস্য ও নেতার প্রভাব খাটিয়ে প্রকল্পটি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ফলে বছর বছর বর্ষায় গ্রামের যোগাযোগব্যবস্থা ভেঙে পড়ে, মানুষ পড়ে চরম দুর্দশায়।
তাঁরা জানান, এ গ্রামের কেউ গুরুতর অসুস্থ হলে অ্যাম্বুলেন্স তো দূরের কথা, সিএনজিতেও নেওয়া যায় না। রোগীকে বাশেঁর খাটিয়ায় বয়ে পানির মধ্য দিয়ে বের করে আনতে হয়।
এ অবস্থায় পূর্ব খেওয়াছড়ি গ্রামে একটি সেতু এবং একটি পাকা রাস্তা নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তাঁরা বিষয়টি নিয়ে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
আপনার মতামত লিখুন :