বার্তা পরিবেশক :
দৈনিক কক্সবাজার বার্তা ও দেশবিদেশ পত্রিকায় ‘ঝিলংজায় চাঁদা না পেয়ে প্রবাসীর বসতঘরের সীমানা প্রাচীর ভাংচুর’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। ওই সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে আমরা নাকি চাঁদা না পেয়ে প্রভাবশালীর সীমানার প্রাচীর ভেঙ্গেছি। সংবাদটি যতটানা মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন তারচেয়ে বেশি হাস্যকর এবং হতাশাজনক। কারণ জনগণের চলাচলের রাস্তার উপর দেওয়াল দিয়ে সড়ক সংকোচিত করে জনভ‚গান্তি সৃষ্টি করায় ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ওই দেওয়ালের কিছু অংশ ভেঙ্গে দিয়েছে প্রশাসন। পরে প্রভাবশালীরা প্রশাসনকেও বাধা দিয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। এদিকে উল্টো সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে চাঁদা না পেয়ে বসতঘরের সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে দিয়েছে। বিষয়টি কি হাস্যকর আর হতাশাজনক নয়? আমরা এই মিথ্য, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
মূল ঘটনা হল কক্সবাজারের সদর উপজেলা ঝিলংজা খরুলিয়ার দরগাহ পাড়ার (৭নং ওয়ার্ড) মাজার রোড এলাকায় খাস জায়গার উপর অবস্থিত দীর্ঘদিনের চলাচলের রাস্তার উপর বসতঘরের সীমানার দেয়াল তুলে দিয়েছে মোঃ হারুনের ছেলে জহির উদ্দিন গং নামে এক প্রভাবশালী। এতে প্রশস্ত রাস্তা সংকুচিত হওযায় একটি লাশ নেওয়ার জায়গাও অবশিষ্ট রইলনা। এতে যাতায়তে ভোগান্তিতে পড়েছে ২৫ টির অধিক পরিবারের লোকজন। এই ঘটনায় ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে গত ৭ অক্টোবর সোমবার বিকালের দিকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে সহকারী কমিশনায় (ভ‚মি) আরিফ উল্লাহ নিজামী আনসার সদস্যদের নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। অভিযানের অংশ হিসেবে ওই দেওয়াল ভাঙ্গতে শুরু করলে প্রভাবশালীদের বাধার সম্মুখিন হয়।
ওই সময় প্রশাসনকে হেনস্ত করার চেষ্টা করেন জহির উদ্দিনের লোক মৃত ইছমাইলের ছেলে ছৈয়দ মিয়া (৪০) ও মুবিন, কলিম উল্লাহ্র ছেলে মিজান (৩৫), শামশু ইসলামের ছেলে মোঃ রশিদ (৪৫), ছলিম উল্লাহর ছেলে জাহাঙ্গীর (৩৮) ও লিংক রোড এলাকার মৃত ফজলের ছেলে রহিম (৩৫) সহ ১৫-২০ জন।
এই প্রসঙ্গে সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) আরিফ উল্লাহ নিজামী জানান, এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে যান এবং যাতায়তের সড়কের উপর থাকা দেওয়ালের কিছু অংশ ভাঙ্গা হয়। এ নিয়ে উত্তেজনা বেড়ে যায়। এ বিষয়ে অভিযোগকারীদের আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের পরার্মশ দেওয়া হয়।
এই প্রভাবশালীরা প্রশাসনকে পর্যন্ত পাত্তা না দিয়ে রাস্তার উপর দেওয়াল তুলে জন ভোগান্তি সৃষ্টি করছে। এনিয়ে তাদের যেখানে অনুশোচনা করা বা অবৈধ দখল ছেড়ে দিয়ে জনজীবণে স্বস্তি ফিরিয়ে আনা দরকার সেখানো উল্টো মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করছে। এছাড়া প্রতিনিয়ত হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। ভ‚ক্তভোগী এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে আমরা এই সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই পাশাপাশি পাঠকদের অনুরোধ করছি কেউ এই মিথ্যা সংবাদ পড়ে বিভ্রান্ত হবেননা। সকলের প্রত্যাশা এই প্রভাবশালী দখলবাজদের হাত থেকে যেন জনগণের চলাচলের রাস্তাটি দখলমুক্ত হয়।
প্রতিবাদকারী-
জাহাঙ্গীর আলম, আরফাত ও আহাদ।
আপনার মতামত লিখুন :