কক্সবাজার রিপোর্ট :
কক্সবাজারের টেকনাফ সেন্টমার্টিনে অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন নিয়ন্ত্রণ এবং জাহাজ চলাচলের পয়েন্ট নির্ধারণে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় একটি বিশেষ কমিটি গঠন করেছে।
মঙ্গলবার (২০ নভেম্বর) মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব সাবরীনা রহমান স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
অফিস আদেশ অনুযায়ী, গঠিত কমিটির নেতৃত্বে থাকবেন কক্সবাজার সদর এবং টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা। তাদের সহযোগিতায় সদস্য সচিব হিসেবে থাকবেন কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক। কমিটির সদস্য হিসেবে থাকবেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ), বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড এবং ট্যুরিস্ট পুলিশের কক্সবাজার প্রতিনিধিরা।
কমিটি সেন্টমার্টিনে পরিবেশ সুরক্ষা এবং টেকসই পর্যটনের জন্য নানা উদ্যোগ বাস্তবায়ন করবে। এর মধ্যে অন্যতম হলো বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের অ্যাপের মাধ্যমে অনুমোদিত ট্রাভেল পাসধারী পর্যটকদের ভ্রমণ নিশ্চিত করা। এছাড়া, নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন এবং একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক বহনে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হবে।
পর্যটকদের ভ্রমণ নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব করতে জাহাজ ছাড়ার এবং দ্বীপে প্রবেশের পয়েন্টে নির্দেশনামূলক বিলবোর্ড স্থাপন করা হবে। পর্যটকদের অবস্থানের তথ্য সংরক্ষণে একটি নিবন্ধন পদ্ধতি চালু করা হবে।
সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নভেম্বর মাসে সেন্টমার্টিনে রাত্রিযাপন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ২ হাজার পর্যটক রাত্রিযাপনের অনুমতি পাবেন। দ্বীপে রাতে আলো ব্যবহার, শব্দদূষণ এবং বারবিকিউ পার্টির মতো কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ থাকবে।
এদিকে, এসব বিধিনিষেধের বিরোধিতা করে স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। দ্বীপে পর্যটকের সংখ্যা সীমিত করায় ব্যবসায়িক কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। এছাড়া স্থানীয় বাসিন্দাদের টেকনাফে যাতায়াতে প্রশাসনিক অনুমতির শর্ত আরোপ করায় তাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় বাধা সৃষ্টি হয়েছে।
পরিবেশ সংরক্ষণে গৃহীত এই উদ্যোগ নিয়ে সংশ্লিষ্টরা সন্তোষ প্রকাশ করলেও সেন্টমার্টিনের পর্যটনশিল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
//টিআর
আপনার মতামত লিখুন :