পেকুয়ায় বোরো চাষের পানি দখলে নিতে হামলা, নিরাপত্তা ও স্কীম রক্ষায় ইউএনও’র কাছে অভিযোগ


Coxsbazarreport.com প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারী ৪, ২০২৫, ৩:৫৫ অপরাহ্ন /
পেকুয়ায় বোরো চাষের পানি দখলে নিতে হামলা, নিরাপত্তা ও স্কীম রক্ষায় ইউএনও’র কাছে অভিযোগ

বার্তা পরিবেশক :

কক্সবাজারের পেকুয়ায় সরকারের কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন লাইসেন্সপ্রাপ্ত সেঁচ সরবরাহকারী নজরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির মালিকানাধীন বুরো চাষের পানি সরবরাহ ও সেচযন্ত্রের স্কীম দখলে নিতে চায় প্রভাবশালী মহল। দখলবাজরা স্কীম ও সেঁচ প্রকল্পে হানা দিয়ে সেঁচযন্ত্র তুলে নেওয়া সহ বিকল্প ব্যবস্থায় পানি ড্রেন তৈরী করে এবং ৩ জনকে হেনস্তা পূর্বক প্রকাশ্যে হুমকি দেয়। ভুক্তভোগী নজরুল ইসলামের অভিযোগ, প্রেক্ষাপট পরিবর্তনে প্রশাসনকে দূর্বল মনে করে চিহ্নিত দখলবাজরা আবারো সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তারা এই স্কীম দখলের ইসু’কে কেন্দ্র করে তার ভাইকে হত্যা করেছে। এই অবস্থায় জীবনের নিরাপত্তা ও স্কীম রক্ষার্থে প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়ে ইউএনও বরাবরে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার দিবাগত রাতে পেকুয়া উপজেলার শিলখালী ইউনিয়নের সিকদারপাড়ায় এ দখল চেষ্টার ঘটনা ঘটে। প্রাপ্ত তথ্য ও অভিযোগে জানা যায়, সরকারের কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন তালিকাভূক্ত এ সেঁচ প্রকল্পের ৪০ একর বুরো চাষের জমিতে পানি ও সেঁচ সুবিধা দিচ্ছেন স্থানীয় মৃত গোলাম কবিরের ছেলে নজরুল ইসলাম।
তিনি দীর্ঘ ১৭-১৮ বছর ধরে কৃষি জমিতে সেঁচ সরবরাহ নিশ্চিত করে আসছেন। এ দিকে সম্প্রতি কৃষি জমির পানি ও সেঁচ সরবরাহ নিয়ে একই এলাকার আকতার আহমদ, বেলাল উদ্দিন হায়দার ও লোকমান হোসেন গংদের লোলুপ দৃষ্টি পড়ে। এর জের ধরে ৩ ফেব্রæয়ারী গভীর রাতে লোকমান হোসেনসহ ১০-১৫ জনের লোকজন নজরুল ইসলামের মালিকানাধীন স্কীম ও সেঁচ প্রকল্পে হানা দেয়। এ সময় তারা নজরুলের বসানো সেঁচযন্ত্রটি উচ্ছেদসহ একই স্থানে বিকল্প ব্যবস্থায় পানি ও সেঁচ সরবরাহের জন্য ড্রেন তৈরী করে ফেলে। এমনকি নজরুল ইসলামের ভোগ দখলীয় বসতভিটা গর্ত করে সেখানে তৈরী করা হয় পানি নিষ্কাশনের জন্য নালা।
এই দখলবাজদের মূলহুতা লোকমান হোসেন গং এর লোকজন ২০০৯ সালের ২০ ফেব্রæয়ারী নজরুল ইসলামের বড় ভাই আরিফুল ইসলামকে হত্যা করে। চাঞ্চল্যকর ওই ঘটনায় লোকমান হোসেনসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা (জি.আর ২৪/০৯) দায়ের করা হয়। এই হত্যাকারীরা আবারো সেঁচ সরবরাহ ও স্কীম দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
এ ব্যাপারে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘১৮ বছর ধরে বৈধভাবে লাইসেন্সের মাধ্যমে আমার স্কীম করে আসছি। বর্তমান দখলবাজরা ২০০৯ সালে আমার বড় ভাই আরিফকে নির্মমভাবে হত্যা করে। হত্যাকারীরা এখন বেপরোয়া। আমার বাড়িতে রাতে অনুপ্রবেশ করে কলেজ ছাত্রীসহ আমাদের পরিবারের ৩ জনকে হেনস্তা করে। প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেয়। এখন আমরা নিরাপত্তাহীনতার পাশাপাশি আমাদের মালিকানাধিন স্কীম হারানোর আশংকায় রয়েছি। এ ঘটনায় আমারা ইউএনও বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেছি। আমরা প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।

এইচ/টিআর